ভারত আমেরিকাকে কিছু বললে তাদের স্বার্থে বলেছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আঞ্চলিক রাজনীতির বিষয়ে এই ভূখণ্ডে ভারত এবং আমেরিকার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। তাই ভারত আমেরিকাকে কিছু বললে নিজেদের স্বার্থে বলেছে। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ নয়।
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে‒ কখন নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি দেবে তার আশায়। তাকাতে তাকাতে চোখের পাওয়ার কমে গেছে। এখন আর কিছু দেখতে পায় না। আর আওয়ামী লীগ তাকিয়ে আছে দেশের জনগণের দিকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের জীবন ডেঙ্গুতে নিরাপদ নয়, আর বিএনপির হাতে দেশের গণতন্ত্র, নিরাপত্তা নিরাপদ নয়। আজকে দেশের প্রধান দুই অভিন্ন শত্রু ডেঙ্গুর মতো ভয়ংকর বিএনপিকেও প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে।
আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ২০ বছরের দণ্ডিত আসামি। তিনি কাপুরুষিত রাজনীতি করছেন, তাই তার নেতৃত্বে কোনও আন্দোলনে সফল হবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপির সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাক্তার জামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্যসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
পরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।