পাঁচ বছরে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু বলেছেন, দেশের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় গত পাঁচ বছরে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। যা ছড়িয়েছে সেগুলো সবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এগুলোর সবই গুজব।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্ন ফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থেকেছি। এজন্য কোনো প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে থেকে ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর প্রশ্ন ফাঁসকারীরা অভিনব কায়দা বের করে। আমাদের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়। প্রত্যেক বার যা যা ঘটে আমরা কিন্তু তা ভুলে যাই না। সেসবের জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা আমরা করি। আশা করি এবার নতুন কিছু ঘটবে না। নতুন-পুরাতন কোনো সমস্যা এবার থাকবে না -এজন্য সব ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরপরও আমাদের চোখ-কান খুলে রাখতে হবে। সব কেন্দ্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিন বোর্ডের পরীক্ষা দেরিতে হওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিন বোর্ডে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব ৬০ দিনের মধ্যে একসঙ্গে রেজাল্ট প্রকাশ করতে।
ডা. দীপু মনি বলেন, দেশে ডেঙ্গু মহামারি বাড়লেও ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য চিকিৎসাসহ বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমদ, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।