স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে তরুণের মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে সুমন আলী (১৯) নামের এক তরুণকে মৃত্যুদণ্ড ও রফিকুল ইসলাম (৩৬) নামের একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন আলী নাটোরের লালপুর উপজেলার পোকন্দা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। আর আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম একই উপজেলার সুভার গ্রামের আফছার আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন: বন্যার কারণে স্থগিত হওয়া আলিম পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
‘নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আনিসুর রহমান বলেন, নাটোরের লালপুর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী সুমন আলীর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। সুমন আলী এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হানা দেন এবং ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে দীর্ঘদিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি মেয়ের বাবা বাদী হয়ে লালপুর থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। পরে পুলিশ ২০১৬ সালের ১০ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত এই মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ঘটনার সঙ্গে দুই আসামির জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এই রায় প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসামিরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আসামিদের নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।