০৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৪

দিনটি আজ বন্ধুত্বের

দিন-ক্ষণ দিয়ে বন্ধুকে ভালোবাসা যায় না  © ফাইল ছবি

যার কাছে মনের সব কথা অনায়াসে বলা যায় সেই তো বন্ধু। জীবনে চলার পথে সুখে-দুঃখে পাশে থাকেই বা ক’জন। সুখের সময়তো অনেককেই পাশে পাওয়া যায়। কথায় আছে ‘বিপদে বন্ধুর পরিচয়’। এই সময়েই বুঝা যায় সেটা বন্ধুত্ব না সুবিধার অন্বেষণ। তবে যার কোনো ভালো বন্ধু নেই সে জীবনের অনেক সুন্দর মুহুর্ত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই অটুট বন্ধুদের জন্য ভালোবাসার কোনো দিন-ক্ষণ থাকে না। কিন্তু বন্ধুত্ব আরও গাঢ় ও মধুর করে নেওয়ার জন্য একটি দিন থাকতেই পারে। ঠিক তেমনি একটি দিন আজ। বছর ঘুরে আগস্টের প্রথম রবিবার পালন করা হয় বন্ধু দিবস।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষের সারা জীবনে গড়ে ৩৯৬ জনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত সব বন্ধু টিকে থাকে না, গড়ে টিকে থাকে ১২ জনের মতো।

গবেষকদের মতে, বন্ধুরা কাছাকাছি থাকলে মানুষের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং তা রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, বন্ধুকে জড়িয়ে ধরলে দুশ্চিন্তা কমে।

বন্ধুদের মধ্যে জিনগত মিল থাকে, এমনটাও জানা গেছে এক গবেষণায়। প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই গবেষণায় গবেষকরা ১ হাজার ৯৩২ জন মানুষের ওপর জরিপ চালান। 

বন্ধুত্বের শুরুটা পৃথিবীর শুরু থেকে হলেও বন্ধু দিবস শুরুর ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয়। মাত্র এক শতক আগে এর প্রচলন হয়েছিল। 
বন্ধু দিবসের পরিকল্পনা ও উৎপত্তি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯১৯ সালের আগস্ট মাসের প্রথম রোববার  সর্বপ্রথম ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়েছিল সেখানেই। এরপর তারা নিজেদের মধ্যে কার্ড ও উপহার বিনিময় করতো। বন্ধু দিবসের শুরুটা হয়েছিল এভাবেই।

আরেকটি প্রচলিত মত হলো, ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। দিনটি ছিল আগস্ট মাসের প্রথম রোববার। বন্ধুর জন্য বন্ধুর আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে মার্কিন কংগ্রেস ১৯৩৫ সালের আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। যা পরবর্তীতে পালিত হতে থাকে। এরপর অনেক দেশই বন্ধু দিবস পালন করা শুরু করে।

পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ৩০ জুলাইকে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস ঘোষণা করেন। জাতিসংঘ জুলাইয়ের ৩০ তারিখ বন্ধু দিবস পালন করলেও অনেক দেশে এই দিনটি বিভিন্ন তারিখে পালন করা হয়।