আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশে সংঘাতে আশঙ্কা!
একই দিনে, একই সময়ে কাছাকাছি দূরত্বে দুই দলের সমাবেশ। এ নিয়ে রাজনীতিতে চলছে উত্তাপ, আছে উদ্বেগ। যদিও দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তা-ও উৎকণ্টা কাটছে না মানুষের। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ পর্যন্ত সংঘাতে রূপ নেয় কি না, সে প্রশ্ন এখন মুখে মুখে।
আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশ শুরু হবে বেলা ২টায়। অন্যদিকে একই দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিকেল ৩টায় শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ।
বড় দুই দলের কর্মসূচি আয়োজনে দুই পক্ষকেই ২৩টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে ডিএমপি। এদিকে সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। এছাড় মাঠে থাকছে বিজিবিও। তবে সংঘাতে আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। কেনো সংঘাত হলে এর দায়ভার রাজনৈতিক দলকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও এদিন দুটি ভিভিআইপি মুভমেন্ট ও মহররমের তাজিয়া মিছিলের কারণে নিরাপত্তার বিষয়টিতে আরও জোর দিয়েছে ডিএমপি।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ধরপাকড় করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে ৪৭৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেনি পুলিশ। এ ধরনের কোনো অভিযোগও নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখব। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারা সন্দেহভাজন বা নিয়মিত মামলার আসামি। অনেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। আশুরা উপলক্ষে এটি ডিএমপির নিয়মিত অভিযান। ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা হয়েছিল। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ, এটি চলবে।
মহাসমাবেশে অংশ নিতে এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির এই মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে অন্তত ৩০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। র্যাব, আনসার, এপিবিএনের অন্তত পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে পল্টন, কাকরাইল, ফকিরাপুল, মতিঝিল, গুলিস্তানসহ সমাবেশের নিকটস্থ এলাকায়।