ডেঙ্গুতে নারীদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি

হাসপাতলে এক নারী চিকিৎসা নিচ্ছেন
হাসপাতলে এক নারী চিকিৎসা নিচ্ছেন  © সংগৃহীত

করোনা মহামারির পর এবার দেশে ভয়বহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। হাসপাতালগুলোতে এখন ডেঙ্গু রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। তবে এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনা করলে নারীদের সংখ্যা বেশি। মৃতদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ নারী মারা গেছে এডিশ মশাবাহিত এ রোগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুষ্টিহীনতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণেই নারীর মৃত্যু হার বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শেষ ২৪ ঘণ্টার তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছে ১৬ জন, যার মধ্যে ৯ জনই ছিলেন নারী। এর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম নাজিয়া সুলতানা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পাবলিক অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক কান্তা বিশ্বাস। তাঁরা দুজনেই আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪১৮ জন। এটি ২৩ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হওয়া রোগী। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ১৬২ জন। বাকি ১ হাজার ২৫৬ জন ঢাকার বাইরের। সর্বশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৬ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৪ জন ও ঢাকার বাইরের ২ জন।

জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৭ হাজার ৬৮৮ জন। এর মধ্যে মারা যান ২০১ জন। এই জুলাইয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫৪ জন। আক্রান্তের মধ্যে ৬৪ শতাংশ পুরুষ। নারী ৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া রোগীর ১১৪ জন নারী, ৮৭ জন পুরুষ।

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, অন্তঃসত্ত্বা নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। নারীরা দেরিতে হাসপাতালে আসছে বলে তিনি মনে করেন।


সর্বশেষ সংবাদ