১৭ জুলাই ২০২৩, ২২:২৯

টিকটক করায় ‘মারধরে’ ছাত্রের মৃত্যু, ৪ শিক্ষক গ্রেপ্তার

  © ফাইল ছবি

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের ছাদে বন্ধুর জন্মদিনের কেক কেটে টিকটক করার অপরাধে শিক্ষকের মারধরের পর প্রতাপ চন্দ্র দাশ নামে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে নিহতের বাবা উপজেলার হিজলা গ্রামের দীনবন্ধু দাশ বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আসামি করে কালিগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন। 

এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালিগঞ্জের নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম পাড়, সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মহিত, সহকারী শিক্ষক অবকাশ চন্দ্র খাঁ ও সহকারী শিক্ষক সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী। মামলার অপর আসামি সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্কুলের ছাদে কেক কাটে প্রতাপ চন্দ্র দাশসহ তার কয়েকজন বন্ধু।  

এ সময় তারা টিকটক ভিডিও করছিল। বিষয়টি নজরে পড়ে সহকারী শিক্ষক অবকাশ খাঁ ও মনিরুল ইসলামের। এগিয়ে গিয়ে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিষেধ করলে শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে তর্কে জড়ায়। এ সময় তিনি তাদের কিল ঘুষি মারেন। এর পরপরই বাড়ি চলে যায় প্রতাপসহ তার বন্ধুরা।

প্রতাপের কাকীমা তাপসী দাশ জানান, প্রতাপ স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে টয়লেটে যায়। সেখান থেকে সে বমি করতে করতে বের হয়। তখন সে পরিবারের সদস্যদের তাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলে। তাকে নিয়ে চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথেই মৃত্যু হয় তার। এর পরপরই হঠাৎ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রতাপের মরদেহ নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা দীনবন্ধু দাশ বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদের মধ্যে চার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া নিহত স্কুলছাত্রের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।