১৭ জুলাই ২০২৩, ০৭:৪৯

শুরু উত্তাপহীন ভোটের লড়াই, সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ

একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রর বাইরে ভোটারদের অপেক্ষা  © ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ‍শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ; চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এখানকার সব কেন্দ্রেই ভোট হবে ব্যালটে। সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে সব রকম প্রস্তুতি শেষ করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কোনও চ্যালেঞ্জ নেই দাবি করে এ সাংবিধানিক সংস্থার প্রত্যাশা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের।

দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এদিকে এ উপনির্বাচনের পাশাপাশি সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনী এলাকায় সোমবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া শনিবার মধ্য রাত থেকে সেখানে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রবিবার দিনগত মধ্যরাত থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক চলাচল।

ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের বিষয়ে কোনও চ্যালেঞ্জ নেই দাবি করে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, আশা করি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারবো।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন তার মেয়াদে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনগুলো ইভিএমে করলেও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন হবে ব্যালটে। তবে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষগুলোতে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের ভোটার তিন লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০। ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৬০৫টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন আট জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) এবং মো. তারিকুল ইসলাম।

প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারণায় বেশি তৎপর ছিলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মোহম্মদ আলী আরাফাত, একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম ও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের সিকদার আনিসুর রহমান।