জুমার দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের গুরুত্ব
সূরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সূরা, যা মক্কায় অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা ১১০। নিয়মিত সূরাটি তিলাওয়াতে অসংখ্য সওয়াবের কথা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হলেও বিশেষত জুমার দিনে এ সূরা তিলাওয়াতের অনেক সওয়াব ও ফজিলত রয়েছে।
হযরত আনাস রা. বলেন, এ পূর্ণাঙ্গ সুরাটি একসাথে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর সাথে ৭০ হাজার ফেরেশতা দুনিয়াতে আগমন করেছেন।
হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।
হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সবধরনের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।
হযরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজি সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। - সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩
হযরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাতে সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিল। তার কাছে দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এরই মধ্যে একটি মেঘখণ্ড এসে তাকে ঢেকে ফেলল। এরপর যখন মেঘখণ্ডটি তার কাছে চলে আসছিল, তখন তার ঘোড়া ছোটাছুটি করতে লাগল। অতঃপর সকালে ওই ব্যক্তি নবীজি সা. - এর কাছে গিয়ে রাতের ঘটনা বললেন। তিনি বললেন, ওটা ছিল সাকিনা (রহমত), যা কোরআন তেলাওয়াতের বরকতে নাজিল হয়েছিল। -সহিহ বুখারি: ৫০১১, ৩৬১৪; সহিহ মুসলিম: ৭৯৫