ছোট বোনকে বাঁচাতে আগুনে পুড়ে তিন বোনের মৃত্যু
চার মেয়েকে রেখে বাবা-মা বলে যান কর্মস্থলে। বাসায় যে যারমত কজে ব্যস্ত। হঠাৎ বিকট শব্দে বাসয় আগুন ধরে যায়। এসময় ছোট বোনকে বাঁচাতে তিন বোন ঢাল হয়ে যান। আড়াই বছরের ছোট বোনকে বাঁচাতে মানবঢাল তৈরি করেন তারা। ছোট বোন আগুন থেকে রক্ষ পেলেও বড় তিন বোন অগ্নি দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৪ দিনের ব্যবধানে একে একে তিন বোনের মৃতু হয়। চোখের সামনে তিন মেয়ের বিদায় দেখে শোকে পাথর মিঠুন ও আরতি দম্পতি।
গত ২০ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেদিন সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঘরের ভেতরে আকস্মিক বিকট শব্দ হয়। মুহূর্তেই দাউ দাউ করে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। আড়াই বছরের ছোট বোন সুইটি রানী দাশের গায়ে যাতে আগুন না লাগে, সেই কারণে মানব ঢাল হয়ে দাঁড়ায় ৩ বোন। এতে শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায় তাদের। অগ্নিকাণ্ডে সামান্য পুড়লেও রক্ষা পায় ছোট বোন। পরে আগুনে দগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
এরপর গত ২২ জুন শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সারথি ও হ্যাপিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়। ঘটনার প্রায় ২৪ দিনের ব্যবধানে আগুন লাগার ঘটনায় একে একে ৩ বোনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো- সারথি রানী দাশ (১৭), সাখশী রানী দাশ (১৩) ও হ্যাপি রানী দাশ (৬)। সবশেষ বুধবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছে হ্যাপি।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জুন একই ইনস্টিটিউটে সারথি ও তার আগে ২৪ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যায় সাখশী। নিহত সারথি সপ্তম শ্রেণির, সাখশী পঞ্চম ও হ্যাপি কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০ জুন সকালে গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। নিহত তিন বোনের শরীরের ৯০ শতাংশের ওপর আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।