১২ জুলাই ২০২৩, ১৫:২২

নয়পল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ  © সংগৃহীত

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ চলছে। বৃষ্টি ভিজে কর্মীরা নেতাদের বক্তব্য শুনছেন। বুধবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের জন্য কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ছয়টি ট্রাক দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বিএনপি চলমান সমাবেশ থেকে সরকার পতনের এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। সমাবেশের ব্যানারে লেখা হয়েছে ‘গণতন্ত্রের ঘাতক, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও সর্বনাশা অনাচারে লিপ্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের একদফা যৌথ ঘোষণা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা। দুপুর দুইটা নাগাদ নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: রাজধানী প্রবেশমুখে তল্লাশি, পায়ে হেঁটে ছুটছে মানুষ

সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থান রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে  সাভার ও আশুলিয়ার সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করছে পুলিশ। এ সময় যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে ঢাকায় প্রবেশে বাধা দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

জানা গেছে, সাভার থেকে রাজধানীতে প্রবেশের সব কয়টি পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বাসে বাসে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রাজধানীর দিকে কোনো বাস স্বভাবিকভাবে আসতে পারছে না। পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে অনেক বাস ইউটার্ন নিয়ে সাভারের দিকে ফিরে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলছেন, দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের আটকে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, এটা নিয়মিত তল্লাশির অংশ। তবে বাসের যাত্রী ও চালকেরা বলছেন, গত এক মাসেও আমিনবাজার ও গাবতলী এলাকায় এ ধরনের কোনো তল্লাশি দেখেননি তারা। বাসের চালকরা বলছেন, ‘গত এক-দুই মাসে এ ধরনের তল্লাশি হয়নি। তিন ঘণ্টা ধরে বসে আছি। গ্যাস খরচ হচ্ছে, যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে।