আ’লীগ-বিএনপি সমাবেশকে ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা
সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। অন্যদিকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বড় দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা করছে পুলিশ। তাদের সমাবেশকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে বুধবার অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে। এমন গোয়েন্দা তথ্য পুলিশের কাছেও রয়েছে। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে বুধবার কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্য আছে, তারা অরাজকতা করতে পারে। তাই পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থায় থাকবে।
এদিকে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২৩ শর্তে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত মেনেই দুই রাজনৈতিক দল সমাবেশ করবে বলে প্রত্যাশা করছে ডিএমপি।
বর্তমানে ঢাকায় বেশ কয়েকটি বিদেশি প্রতিনিধি দল অবস্থান করছে, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় পক্ষই সতর্ক থাকবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, সংঘাতের শঙ্কা একবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে। তবে উভয় দলের উচিৎ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করা। এ মুহুর্তে কোনো অঘটন ঘটলে সরকারকে বেশি চাপে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: এক দফা নিয়ে রাস্তায় বিএনপি, শান্তি সমাবেশে আ’লীগ
বুধবার নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সমাবেশ করবে দলটি। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ২টায় এ সমাবেশ থেকে দলটির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। পাশাপাশি তৃণমূলে দেওয়া হবে নতুন বার্তা। সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা বক্তব্য দেবেন।
বিএনপির সঙ্গে কর্মসূচি ঘোষণা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদ (নুর),গণঅধিকার পরিষদ (রেজা), গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, সমমনা গণতান্ত্রিক পেশাজীবী জোট, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
অন্যদিকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বুধবার বিকাল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এই শান্তি সমাবেশে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের যোগ দিবেন।
ইতোমধ্যে দুই দলের নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ সমাবেশ স্থালে আসতে শুরু করেছে।