৭ম বারের মত ওয়াসার এমডি তাকসিমের মেয়াদ বাড়ছে
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের মেয়াদ ৭ম বারের মত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ওয়াসা বোর্ড। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন একাধিক সদস্য।
তারা জানান, তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখান থেকে প্রস্তাবের সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর পাঁচ দফায় তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর তার ষষ্ঠবারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
ঢাকা ওয়াসায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে সম্প্রতি বিদায় নিতে হয়েছে সংস্থাটির বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে। তার আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেছিলেন, তাকসিম খান ওয়াসা বোর্ডের সঙ্গে অসহযোগিতা, ওয়াসা আইন ভঙ্গ করে ‘ব্যক্তিগত সম্পদের মতো স্বৈরাচারী কায়দায়’ ওয়াসা প্রশাসন পরিচালনা করে ঢাকা ওয়াসাকে অনিয়ম, অপচয় আর দুর্নীতির ‘আখড়ায়’ পরিণত করেছেন।
এমডি হিসেবে তাকসিমের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০২২ সালে হাই কোর্টে একটি রিট মামলা করে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৭ অগাস্ট হাই কোর্ট আদেশ দেয়,তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর ধরে বেতন-ভাতা বাবদ কত টাকা নিয়েছেন, সেই হিসাব ৬০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে হবে।
সেই সঙ্গে তাকসিম এ খানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাকে অপসারণে বিবাদীদের ‘নিষ্ক্রীয়তা’ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
যতদিন পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা না হবে, ততদিন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।