৬০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী ঢাকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হঠাৎ করেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও।সারাদেশে যত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে ৬০ ভাগই ঢাকার বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এরই মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১২ হাজার লোক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং এর মধ্যে আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার (৯ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জ গড়পাড়া নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে যত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে ৬০ ভাগই ঢাকার। বৃষ্টি হওয়াতে বিভিন্ন স্থানে পানি জমাট বেঁধে মশার বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে আর এতে করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এ পর্যন্ত ৫৭টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই যদি সজাগ না হই তাহলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এ জন্য সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলা করে যাচ্ছি। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাকে আহ্বান করছি তারা যেন বেশি বেশি করে স্প্রে করে। শহরের যে সব স্থানে বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে থাকে এবং বসত বাড়ি ও ঘরের উঠানের পানি জমাট থাকলে তা অপসারণ করতে হবে। এই পানি অপসারণ না করলে ডেঙ্গু আরও ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে। আমি মনে করি সবাই মিলে কাজ করলে এই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত বছর এ সময়ে অবস্থায় ভালো ছিল তবে এ বছর এই সময়ে ডেঙ্গু রোগ বেড়ে গেছে, সামনের আরও দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে পারে, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তারা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়ে যায়। সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ইউনিট রয়েছে, প্রশিক্ষিত নার্স ও ডাক্তার আছে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ।
আরও পড়ুন: বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, জেনে নিন মশা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেন সাহা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার সরকার, ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।