এটুআই নামে নতুন সংস্থা হচ্ছে, সংসদে বিল পাস
এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) নামে নতুন একটি সংস্থা গঠন করতে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে। সরকারি সেবার ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিত ও টেকসই করার লক্ষ্যে এই সংস্থা করা হচ্ছে। মূলত এটি হবে বর্তমান এটুআই প্রকল্পের স্থায়ী কাঠামো।
বুধবার (৫ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নতুন এই সংস্থা গঠনের লক্ষ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব করেন। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস করা হয়।
এজেন্সির পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা পরির্ষদের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এটি ১৮ সদস্যের পরিচালনা পরির্ষদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন, যা স্বায়ত্তশাসিত হবে। প্রতি বছরে পরিচালনা পর্ষদের অন্যূন ২টি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, এজেন্সি একটি নীতি তৈরি করবে যা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে।
আইনে বলা হয়েছে, এজেন্সি তার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারি নিয়োগ করতে পারবে। এজেন্সি তার আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং হিসাবের বাৎসরিক বিবরণী প্রস্তুত করবে। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এজেন্সি প্রয়োজন অনুযায়ী কোম্পানী গঠন করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পাবলিক সার্ভিসের ডিজিটাল রূপান্তর নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিকের জীবনমানে সৃষ্ট সেবা অধিকতর কার্যকর ও টেকসই করার জন্য ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’-এর প্রতিস্থাপকরূপে স্থায়ী কাঠামো হিসেবে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ নামে একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা এই আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে প্রকারান্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’র পুনর্জাগরণ বলা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) আইন-২০২৩’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র : বাসস