সাংবাদিকদের নেগেটিভ নিউজের মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৩, ০২:৩৯ PM , আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩, ০২:৩৯ PM
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের নেগেটিভ নিউজের মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পজেটিভ নিউজও নিউজ। কিন্তু একটি গোষ্ঠী মনে করে নেগেটিভ নিউজই নিউজ। এই মানসিকতা বিকৃত।
বুধবার (৫ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেশালাইজড হসপিটালের ইনডোর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে প্রোগ্রামে যুক্ত হন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “লাখ লাখ লোকের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে দুয়েকটা সমস্যা হয়। কিন্তু একটা নেতিবাচক ঘটনার জন্য বাকি ভালো কাজগুলো তুলে ধরা হয় না। “নিউজের বিষয় হল নেগেটিভ নিউজ ইজ নিউজ। পজেটিভ নিউজ ইজ নো নিউজ।
সম্প্রতি ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর প্রথমে নবজাতক এবং পরে মা মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠলে সারাদেশে আলোড়ন তৈরি হয়। নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু নিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক সংযুক্তা সাহা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একে অপরের ওপর দোষ চাপায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা গত ১০ বছরে অনেক এগিয়েছে। চিকিৎসক-নার্স দ্বিগুণ হয়েছে। নার্স নিয়োগ বন্ধ ছিল। টেকনিশিয়ান নিয়োগ বন্ধ ছিল মামলার কারণে। সেই মামলা আমরা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছি। ৮টি বিভাগে ৮টি হাসপাতাল হচ্ছে, সেগুলোতে নতুন করে ৪ হাজার শয্যা যুক্ত হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। আমাদের হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। রোগীদের ব্যবস্থাপনাটা আমরা দেখছি, এখন মশাটা যাতে নিধন হয় সেই ব্যবস্থাটা করতে হবে। ডেঙ্গু রোগীতে হাসপাতালগুলো ভরে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রোগীর যেন মৃত্যু কম হয় চিকিৎসকরা সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে রোগীদেরও দায়িত্ব রয়েছে। যথাসময়ে হাসপাতালে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরে এক দিনে চারজনের মৃত্যু
স্পেশালাইজড এই হাসপাতাল নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং দেশবাসী আশা করেন এখানে সর্বোচ্চ উন্নত সেবা পাবে মানুষ। আমাদের প্রায় দুই হাজার লোক লাগবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, হাসপাতালের কার্যক্রম কেমন চলছে। করোনার কারণে আমাদের যন্ত্রপাতি আসতে দেরি হয়েছে। তাই ইনডোর সেবা শুরু হয়নি। এখন যন্ত্রপাতি আসছে।’