আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮.৭ শতাংশ এবং অতিদারিদ্র্যের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।
বুধবার (৫ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের দিকে ধাবিত হচ্ছি। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের নিজেদের অর্থে বহুল আকাক্সিক্ষত পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও মর্যাদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক ও উন্নত করেছি।
এসময় একদিনে ১০০ সেতু ও একদিনে ১০০ সড়ক উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। একে ‘বিশ্বে বিরল উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীনকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছি। আমরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রোবটিক সার্জারির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কালের আবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট’ আজ একটি সুসংহত বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’
দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রাচার অনুষ্ঠানে পিজিআর সদস্যদের ভূমিকা আজ সর্বজন প্রশংসিত বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘কর্তব্যপরায়ণ, দক্ষ, বিশ্বস্ত, সর্বোপরি একটি সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমগ্র জাতির কাছে আপনারা সমাদৃত। বিশেষ করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আপনারা আদর্শ নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রাচার পালনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করব ভবিষ্যতেও আপনারা চেইন অব কমান্ড মেনে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। আপনারা যুগপোযোগী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন, ব্যক্তি শৃংখলা বজায় রাখবেন, আত্ম উন্নয়নে মনোযোগী হবেন, নিজ পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্নশীল হবেন। সর্বোপরি সেনাবাহিনী তথা সমগ্র জাতির উন্নয়নে অংশীদার হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।