বিয়ের দাওয়াতে ‘কাঁচা মরিচ না দেওয়ায়’ উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে ‘কাঁচা মরিচ ও সালাদ না দেওয়াকে’ কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দুই জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাকী আহতরা বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. শাহিন হাওলাদার জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ ও সালাদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মতি হাওলাদার (৭০), মো. জিসান (১০), ফিরোজ হাওলাদার (১৮), সালেহা বেগম (৭০), মালেক হাওলাদার (৪০), মো. হাচিব (৯), মো. রফিক মিয়া, মো. মিজান ও খালেক হাওলাদারসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে, কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার বিকালে ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যায়। এ সময় খাবার টেবিলে মাছ, মাংস ও পোলাও দেওয়া হলেও মেন্যুতে কাঁচা মরিচ ও সালাদ ছিল না। পরে বরযাত্রী পক্ষের লোকজন খাবার টেবিলে কাঁচা মরিচ ও সালাদ চায় এবং বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন; যা চলে প্রায় ৩ ঘণ্টা।
এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে বলেও জানান তারা।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম জানান, আহত দুই জনকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
বাউফল উপজেলার বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। এছাড়া অপর আহত রফিক ও মিজান নামে দুজনকে বরিশাল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়াও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ অভিযোগ আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক।