কারাগারে বন্দীকে মারধর, পাপিয়াকে কুমিল্লাায় স্থানান্তর
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) বিকেলে তাকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে ৩ বছর ৪ মাস ধরে বন্দি আছেন পাপিয়া। ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে সেখানে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি পাপিয়া রুনা লায়লা নামের এক হাজতিকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা লুট করে নেন। এমন অভিযোগ এনে রুনার ছোট ভাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও কারা কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর মধ্যে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের। একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন রুনার ভাই। এ ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের পক্ষে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।