০২ জুলাই ২০২৩, ১৮:০২

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ শিক্ষক, শীর্ষে ড. আশিক মোসাদ্দিক

অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক  © টিডিসি ফটো

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এ বছর স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ২৭৬ জন গবেষক। 'অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স' প্রকাশিত 'ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাংকিং-২০২৩' এ বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিকসহ ৪৭ জন শিক্ষকবৃন্দের নাম এসেছে।
 
আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং সংস্থা 'আলপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স' এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৮টি দেশের ২১ হাজার ৯১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পান।

এ বছরের তালিকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক। তিনি ফার্মেসি এবং চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিজ্ঞানীর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ফার্মেসি বিষয়ের বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিতীয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং সেরা ১০ জনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বর্তমানে তাঁর প্রকাশনার সংখ্যা ১৪৫টি। 

এছাড়া 'অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স-এর তালিকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ৪৭ জন গবেষক স্থান পান তাদের মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সুব্রত কুমার সরকার ও মোছা. শিউলী আখতার, ফার্মেসি বিভাগের মো. মাহবুবুর রহমান ও তৃপ্তি রানী পাল, সেন্টার ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ (সিআইআর)-এর সুলতানা রাজিয়া, অর্থনীতি বিভাগের মো. আতাউল গনি ওসমানী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের মোছা. রাশিদা আখতার, ড. আহমেদ হোসেন ও মনিকা কবির অন্যতম। 

উল্লেখ্য, বিশ্বের সেরা ২% বিজ্ঞানীর তালিকাকে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ তালিকা হিসেবে গণ্য করা হয়। অধ্যাপক ড. আশিক মোসাদ্দিক বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দায়িত্বের পাশাপাশি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার, সেন্টার ফর ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ সেন্টারের দায়িত্ব পালন করছেন। গুগল স্কলারে তাঁর সাইটেশনে সংখ্যা বর্তমানে ৪১৫৩ এবং এইচ- ইনডেক্স ৮০।

এছাড়া ২০১১ সালে তিনি উন্নয়নশীল দেশ ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি থেকে গবেষণায় অবদানের জন্য 'তরুণ বিজ্ঞানী গোল্ড মেডেল' অর্জন করেন এই অধ্যাপক।