বোনকে ইভ-টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন
ইভ-টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের ছুরিকাঘাতে রবিউল হক শায়েদ নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ছাগলনাইয়ার শুভপুর বাজারে এঘটনা ঘটে। নিহত শায়েদ শুভপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। পেশায় সে এস্কেভেটর চালক ছিলেন।
পুলিশ হামলাকারীসহ ১০ জনকে আটক করেছে । আটককৃতদের সবার বাড়ি শুভপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামে । এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতের বোন সাথী আক্তার ও স্থানীয়দের সূত্রে পুলিশ জানায়, রবিউল হক শায়েদ তার ছোট বোনসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেলে শুভপুর ইউনিয়নের শমসের গাজী দিঘী(এককুল্যা) এলাকায় বেড়াতে যান। সেখানে আগ থেকে অবস্থান করা কয়েক বখাটে শায়েদের ছোট বোনকে উত্যক্ত করে। শায়েদ তখন প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বখাটেরা। এনিয়ে সেখানে তুমুল তর্কাতর্কি হয় শায়েদের সঙ্গে। তর্কের এক পর্যায়ে এক বখাটেকে চড় থাপ্পড় দেয় শায়েদ।
চড় খাওয়া ওই যুবক তার সাঙ্গদের জানালে তারা
শুভপুরের ২নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার ফজলুর রহমান সজীবের কাছে বিচার দাবি করে। ইউপি মেম্বার উভয় পক্ষকে সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে আসতে বলেন। ডাক পেয়ে আগে আসেন চম্পকনগর গ্রামের ঘটনার অভিযুক্ত যুবকরা। শায়েদ ইউপি মেম্বারের কার্যালয়ের আসা মাত্রই আবার তার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে যায বখাটেরা। মুহুর্তেই শোরভ নামে এক বখাটে শায়েদকে ঝাপটে ধরে বুকে ছুরিকাঘাত করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে যায় সে।
স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক শায়েদকে উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হামলার পর স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে হামলাকারী যুবকসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নিহত শায়েদ হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্য হয়েছে। তার বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকে হামলাকারী যুবকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়। তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।