৩০ জুন ২০২৩, ২২:৩১

প্রেমের টানে নোয়াখালীতে মালয়েশিয়ার তরুণী

  © সংগৃহীত

জীবিকার তাগিদে ৫ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি নোয়াখালীর জমান ফরহাদ হোসেন (২৬)। বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার কবির হোসেনের ছেলে তিনি। মালয়েশিয়ার লাডাং হোপফুল এলাকার হাটতালিকা নামের একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। কাজের সুবাদে মালয়েশিয়ান স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামির (২২) সঙ্গে পরিচয় হয়। দুজনের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। 
 
চলতি বছরে কাজ শেষ হওয়ায় দেশে ফিরে আসেন ফরহাদ। ফরহাদ দেশে চলে এলে প্রেমের টানে গত ২৪ জুন নোয়াখালীতে চলে আসেন মালয়েশিয়ান কন্যা স্মৃতি আয়েশা। পরদিন ২৫ জুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। স্মৃতি আয়েশাকে দেখতে ফরহাদের বাসায় ভিড় জমাচ্ছে এলাকার মানুষ। ফরহাদের পরিবারে বইছে খুশির আমেজ। 

ফরহাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় ৫ বছর মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কাজ করার পর চলতি বছরে ওই কোম্পানির কাজ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশে চলে আসেন ফরহাদ। কর্মক্ষেত্রে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ফরহাদের। তাদের উভয়ের কথোপকথনের মাধ্যমে তারা নিজেদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর ২৪ জুন বাংলাদেশে আসেন স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি। তাদের উভয়ের সিদ্ধান্ত মতে পরদিন ২৫ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এখন দুজনই অনেক খুশি। 

ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় স্মৃতির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক আমাদের। আমি বাড়ি আসার পর আমার ভালোবাসার টানে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে স্মৃতি বাংলাদেশে চলে আসে। 

তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী স্মৃতি প্রাপ্ত বয়স্ক তাই সে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। আমরা এখানে বিয়ে করেছি। এতে আমি, স্মৃতি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি।

কিছুটা বাংলা বলতে পারা স্মৃতি আয়শা বিন রামাসামি বলেন, ফরহাদ হোসেনকে আমি ভালোবাসি, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এখানকার পরিবেশ, আতিথেয়তা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে।