২৮ জুন ২০২৩, ১৮:৪৫

ঈদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া লাখ টাকা উপহার পেল ৮ম শ্রেণির আঁখি

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার গ্রহণ করছেন আঁখি  © টিডিসি ফটো

মেধাবী বাকপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আরিফা আক্তার আঁখিকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার হিসেবে এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৮ জুন)  দুপুরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই চেক প্রদান করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। 

বাকপ্রতিবন্ধী শিশু আরিফা আক্তার আঁখি দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। পিতা আনোয়ারুল ইসলাম একজন ফুটপাতে বই বিক্রেতা। মাতা শাহানাজ পারভীন গৃহিনী। আঁখির ছোট দুই ভাই রয়েছে। 

জানা যায়, শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা নতুন পাড়া এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে আরিফা আক্তার আঁখি অত্যন্ত মেধাবী। তবে সে কানেও শোনে না, কথাও বলে না। বেশ কয়েকমাস আগে সে নিজ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ ময়দানের ঈদগাহ মিনার ও জামাতের অংশের একটি ছবি আকে। সারাদেশের আকা ছবিগুলোর মধ্যে সেই ছবিটি প্রথম হয় এবং সেই ছবিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। এবারের দেশবাসীকে দেয়া পবিত্র ঈদ-উল আজহা শুভেচ্ছা কার্ডে আঁখির আকা ছবিটি অর্ন্তভুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, বরং সম্পদ তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আঁখি। তার আকা ছবি সারাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। সেই ছবি প্রধানমন্ত্রী তার ঈদ শুভেচ্ছা কার্ডে অর্ন্তভুক্ত করেছেন। পাশাপাশি আঁখিকে ঈদ উপহার দিয়েছেন, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এতে করে আমরা দিনাজপুরবাসী গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। আগামীতেও আঁখির কোন প্রয়োজনে পাশে থাকবেন বলে জানান তিনি। 

আঁখির পিতা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, আঁখি পড়াশোনায় ভালো। আগে সে দিনাজপুর শিশু একাডেমিতে চিত্রাংকন শিখতো, বর্তমানে বালুবাড়ী আর্ট একাডেমিতে চিত্রাংকন শিখছে। আমার স্বল্প আয়, এটি দিয়েই পরিবার ও সংসার নির্বাহ করি। পাশাপাশি তাদেরকে পড়াশোনা শেখাই। এরমধ্যে আমার মেয়ে যাতে করে কথা বলতে পারে সেই চিকিৎসাও চালিয়ে যাচ্ছি। আমার মেয়ের প্রতিভা গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ঈদ কার্ডে আমার মেয়ের ছবি স্থান পেয়েছে। আমি অনেক গর্বিত এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।