কারাগারে ভয়ংকর সেই পাপিয়া, নির্যাতনে আহত শিক্ষানবিস আইনজীবী
নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় আসা যুব মহিলা লীগের সাবেক নেত্রী পাপিয়া কারাগারে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন। তার নির্যাতনে এক শিক্ষানবিস আইনজীবী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অস্ত্র, মাদক ও দেহ ব্যবসায় জড়িত ছিলেন পাপিয়া। ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। বিত্তশালীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ একাধিক অভিযোগে ২০২০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন তিনি। তবে জেলে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন তিনি।
জানা গেছে, ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেল বিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে ‘রাইটার’ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এর পর থেকেই কারাগারে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনার কাছে থাকা ৭ হাজার ৪০০ টাকা ছিনিয়ে নিতে তার ওপর অমানসিক নির্যাতন করা হয়। তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এমনকি জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পরও রুনাকে পেটানো হয়। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘হাজতি রুনা লায়লাকে মারধর করা হয়েছে এটা সত্য। সাজাপ্রাপ্ত পাপিয়া ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে পরে এসে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।