২০ দিন পর ফের উৎপাদনে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
কয়লা সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র আবার সচল হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে বন্দরে এসেছে এমভি অ্যাথেনা নামের একটি জাহাজ। ২০ দিন পর উৎপাদনে ফিরেছে এর একটি ইউনিট। ২ জুলাই চালু হবে দ্বিতীয় ইউনিটটি।
রোববার (২৫ জুন) ভোররাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয় বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাতে ৪১ হাজার ২০৭ টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিকপানান বন্দর থেকে পায়রা বন্দরের পৌঁছায় জাহাজটি। কয়লা খালাস করতে দুই দিন লেগে যায়। কয়লা খালাসের পরই উৎপাদনে ফিরে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
ডলার সংকটে কয়লা আমদানি না হওয়ায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট গত ২৫ মে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৫ জুন বন্ধ হয়ে যায় দ্বিতীয় ইউনিটও। এরপর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশে কয়লা আসার পরপরই কেন্দ্রটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় চালাতে ১১ থেকে ১২ হাজার টন কয়লা লাগে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়, যা দেশের গড় উৎপাদনের প্রায় ১০ শতাংশ। প্রায় ৩৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া থাকায় চীনের সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
পরে সরকারের ওপর মহলের হস্তক্ষেপে ধাপে ধাপে ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়। তা দিয়ে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৭টি জাহাজের এলসি খোলা হয়। এতে প্রায় সাত লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আনা যাবে। নতুন করে আরও কয়লা আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: উড়ন্ত বিমানে হঠাৎ অসুস্থ যাত্রীকে চিকিৎসা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
সূত্র জানায়, মজুত পুরোপুরি শূন্য হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর পাশাপাশি কয়লা মজুত করা হবে। প্রথম চালানের কয়লা দিয়ে আপাতত একটি ইউনিটে দৈনিক ৫২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২ জুলাই কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে জাতীয় গ্রিডে মোট ৭৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসি) পটুয়াখালীর পায়রায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে। কেন্দ্রটির মালিকানায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান (৫০:৫০) অংশীদারিত্ব রয়েছে।