১৩ বছর ধরে বিএমডিসির নিবন্ধন নেই সংযুক্তা সাহার
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধনের মেয়াদ প্রায় ১৩ বছর আগে শেষ হলেও তা এতদিন নবায়ন করেননি সেন্ট্রাল হসপিটালের আলোচিত গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা। এ বিষয়টিকে নিজের ভুল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সংযুক্তা বলেন, আমার নিবন্ধন নেই, বিষয়টি কিন্তু এমন না। নিবন্ধন আছে, তবে সেটি রিনিউ করা হয়নি। বিএমডিসিতে রিনিউয়ের একটা ফি দিতে হয়, এটা গত বছর থেকেই অনলাইনে সিস্টেম ছিল, এটা আমি জানতাম না। আমার আগেই নিবন্ধন রিনিউ করা উচিত ছিল। কিন্তু আমি এত ব্যস্ত থাকি যে, সময় পাইনি। এটা আমার ভুল হয়েছে।
ডা. সংযুক্ত সাহা আরও বলেন, আমি তো আমার বাসায় আসারই সময় পাই না। নতুন চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে হয়। আমার নতুন কোনো চাকরি হয়নি, তাই কাগজপত্র ঠিক করা হয়নি। আগে যখন আমি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান ছিলাম, তখন নিবন্ধনের বিষয়গুলো তারাই হ্যান্ডেল করত। কাগজপত্র নিয়ে তারাই রিনিউ করে নিয়ে আসত। সেন্ট্রাল হসপিটালে আসার পর সেটি আর হয়ে ওঠেনি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে সি-সেকশন সার্জারির সময় এক নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। কয়েকদিন পরে মাহবুবা রহমান আঁখি নামের ওই মা অপর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।
সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন আঁখি। অভিযোগ রয়েছে- রোগী ও তার পরিবারকে সার্জারির আগে বলা হয়েছিল যে, ডা. সংযুক্তা সাহা অপারেশন করবেন। হাসপাতালে তাকে ওই চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি করা হলেও ডা. সংযুক্তা সাহা দেশেই ছিলেন না। অন্য চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা ব্যর্থ হলে তখন অস্ত্রোপচার করে বাচ্চা বের করা হয়। পর দিন মারা যায় শিশুটি।