ছয়দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কলেজছাত্রী ধর্ষণে জড়িতরা, ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষাঙ্গন
লালমনিরহাটে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ছয়দিন পার হলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি প্রধান ঘটনার মূল হোতাসহ দুই আসামী। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে জেলার শিক্ষাঙ্গন।
দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও। মানববন্ধন শেষে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের নিকট ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতারের মৌখিক দাবি জানান তারা।
জানা যায়, দুই বছর আগে বিমানবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সোহাগ নামে এক যুবক লালমনিরহাটের একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে দুই বছর ধরে।
আরো পড়ুন: যবিপ্রবির ৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা
গত শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে এয়ারপোর্টে দেখা করতে কলেজছাত্রীকে ডেকে নেন কথিত প্রেমিক সোহাগ। এক পর্যায়ে অন্ধকার নেমে আসলে পাশের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ সময় লুকিয়ে থাকা সোহাগের দুই বন্ধুও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
রাত হলেও ওই কলেজছাত্রী বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিক ও পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন তারা। পরে রাত ৮টার দিকে সাংবাদিক ও পুলিশসহ পরিবারের সদস্যরা ভুট্টা ক্ষেত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ঠিকানাহীন কথিত প্রেমিক সোহাগের মোবাইল নম্বর দিয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত কলেজ ছাত্রীর বড় বোন। মামলায় সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোয়াইব সরকার সজীবকে নামে এক যুবককে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। ইতোমধ্যে ধর্ষকদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মূল হোতাসহ বাকি আসামিকে দ্রুত খুঁজে বের করা হবে।