২২ জুন ২০২৩, ১৬:০৯

সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে আদালতেই হামলার শিকার সাংবাদিক 

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুষ্টিয়া  © ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আদালত চত্বরে পুলিশের সামনেই হামলার শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। বুধবার (২১ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর (বুধবার রাতে) কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী।

হামলার শিকার সাংবাদিক রাজু আহমেদ অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্টের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি। অভিযুক্তরা হচ্ছেন, দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী গ্রামের জালাল খাঁর ছেলে মাসুদ খাঁ, আক্কাস শেখের ছেলে সামাদ, নৈমুদ্দিন সিকদারের ছেলে আবু তালেব, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের রফিকুল সিকদারের ছেলে বকুলসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জন। হামলাকারীরা চিলমারীতে ৩ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামিদের পরিবারের লোক।

এ বিষয়ে সাংবাদিক রাজু আহমেদ বলেন, দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী গ্রামে তিনজনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ৪০ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে আমি আদালতে সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলাম।
এর আগে সে হত্যার ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন করেছি। এ কারণে আসামিপক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন। এ সময় তারা আমাকে হত্যার হুমকিও দেন। পরে আদালত থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লোকজন আমাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়াসহ প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেব।

উল্ল্যেখ্য যে ,গত ২৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চিলমারী গ্রামে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মণ্ডল গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। সে সময় মণ্ডল গ্রুপের লোকদের বাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে দিনু মণ্ডল, ফারুক ও আকতার মণ্ডল নামে তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন ২৫ জন। ঘটনার পরদিন ২৮ এপ্রিল মোজাম মণ্ডল বাদী হয়ে ৭৩ জনের নামসহ ১২০ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।