২০ জুন ২০২৩, ২৩:১৯

টিকটক ভিডিও বানানোর সময় বজ্রপাতে দুই তরুণী আহত

ভিডিও ধারণের সময় আচমকা বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে  © ভিডিও থেকে নেওয়া

শরীয়তপুরে বৃষ্টিতে ভিজে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই তরুণী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন এবং অপরজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তরুণীরা জেলার একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স  ভবনের ছাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত মেঘলা আক্তার শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া ইউনিয়নের গাজার বাজার এলাকার সুলতান আহমেদের মেয়ে এবং ইয়াসমিন আক্তার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার খাসের হাট গ্রামের রেজাউল বেপারীর মেয়ে।

শরীয়তপুর ইসলামী চক্ষু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের গাজার বাজার এলাকার সুলতান আহমেদের মেয়ে মেঘলা আক্তার। দুই বছর ধরে তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে বেসরকারি শরীয়তপুর ইসলামী চক্ষু হাসপাতালে কর্মরত।

আরও পড়ুন: টিকটকের একটি ভিডিওতে ১০ বছরের আয়, চাকরি ছাড়লেন শিক্ষিকা

পালং মডেল থানা ও চক্ষু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে বেসরকারি ইসলামী চক্ষু হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ওই ভবনের ছাদে টিকটকের ভিডিও বানাতে যান হাসপাতালের ক্লিনার মেঘলা আক্তার (২৫) ও অভ্যর্থনা কর্মী ইয়াসমিন আক্তার (২১)। এ সময় বজ্রপাতে ওই দুই তরুণী আহত হন। পরে হাসপাতালের লোকজন তাৎক্ষণিক দু’জনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ইয়াসমিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন এবং মেঘলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ইয়াসমিন আক্তার বলেন, বৃষ্টি আসার পর আমরা দু’জন মিলে ছাদে ভিজতে যাই। এসময় মেঘলা আমাকে ভিডিও করতে বললে আমি ভিডিও করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

চক্ষু হাসপাতালটির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ইয়াসমিন ও মেঘলা নামের হাসপাতালের দুই স্টাফ বৃষ্টিতে ভিজে ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছে। এর মধ্যে মেঘলা হাসপাতালে ভর্তি আছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, বজ্রপাতে আহত একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। অপর নারী শঙ্কামুক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।