নির্দেশনা না মেনে স্কুল খুলে পরীক্ষা, ছয় শিক্ষার্থী হাসপাতালে
কুমিল্লা দাউদকান্দিতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে স্কুল খোলা রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টিতে প্রচন্ত গরমের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার সময় ছয় শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) উপজেলার কানড়া মুকুল নিকেতন স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল।
জানা গেছে, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দশম শ্রেণির ইয়াকুব হোসেন, ইউসুফ মিয়া, আলিজা আক্তার, নবম শ্রেণির তারিন আক্তার, আঁখি আক্তার, ষষ্ঠ শ্রেণির নুসরাত আক্তার এবং সহকারী শিক্ষক মার্জিয়ারা বেগমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে আলিজাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলছে। বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিপড়ুয়া ছয় শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাদেরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
একই দিনে উপজেলার জিংলাতলী ইসলামী কমপ্লেক্স মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মাউশির কুমিল্লার আঞ্চলিক পরিচালক অধ্যাপক সোমেশ কর চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, ইউএনওর মো. মহিনুল হাসান, ওসি মুহম্মদ আলমগীর ভূঞা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। তাঁরা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ও খোঁজখবর নেন।
মুকুল নিকেতন স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র বলেন, ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে গরমে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বখতিয়ারা আক্তার বলেন, কী কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে একজনের অসুস্থতা দেখে অন্যরা ভয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
মুকুল নিকেতন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, বন্ধের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া ভুল হয়েছে। এ নিয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
ইউএনও মো. মহিনুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার খবর শুনে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।