চলতি মাসেও ইউনিক আইডি পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা
নানান জটিলতায় শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি পাওয়া নিয়ে সমস্যা কাটছে না। জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে বিভিন্ন জটিলতায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।
২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রকল্পের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালে। পরে মেয়াদ দু’দফা বাড়িয়ে চলতি জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু শেষ হয়নি কাজ। এখন মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদে শিক্ষার্থীর নাম বাংলা ও ইংরেজিতে না থাকায় ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর আইডি তৈরি হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যালয়কে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিগগির সমস্যার সমাধান হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইন পাঠানো হয়েছে। জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে কার্ড বিতরণ করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে কার্যালয়টির এক কর্মকর্তা বলেন, অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের সব তথ্য না থাকলে ইউনিক আইডি তৈরি সম্ভব নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদন ছাড়া তথ্য যোগ করার সুযোগ নেই। আইনি বাধা আছে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখতে ইউনিক আইডি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর হলে এটি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। মুজিববর্ষেই ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি কার্ড তুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে সে ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়নি।
সূত্রমতে, এক কোটি ১০ লাখ শিক্ষার্থীর ডেটা এন্ট্রি শেষ। ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি তৈরি হয়েছে। বাকিগুলোর ডেটা এন্ট্রি চলছে।