আসছে দুটি সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ ও ‘তেজ’

আগামী সপ্তাহে সাগরে আরও দুইটি সাইক্লোন সৃষ্টি হতে পারে
আগামী সপ্তাহে সাগরে আরও দুইটি সাইক্লোন সৃষ্টি হতে পারে  © সংগৃহীত

দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড দাবদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গত কয়েক বছরের তুলনায় গরমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। আবহাওয়ার এমন বৈরিভাব নিকট অতীতে দেখা যায়নি। জুনে ১১ বছরের রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রায় নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দুঃসংবাদ আবহাওয়া বিশ্লেষকদের।

তারা বলছেন, চরম রুক্ষ আবহাওয়ার সাথে আগামী সপ্তাহে যুক্ত হতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগও। সাগরে আরও দুইটি সাইক্লোন 'বিপর্যয়' ও 'তেজ' সৃষ্টি হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তারা। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে এ দুটি ঘূর্ণিঝড় চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আষাঢ় আসতে আরও অন্তত ১১ দিন বাকি। ফলে বৃষ্টির অপেক্ষা আরও বাড়ছে তাতে সন্দেহ নেই। গরমে ঘেমে-নেয়ে ঘরে বাইরে হাঁস-ফাঁস করছে মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আর্দ্রতা কমে বাতাস শুষ্ক হয়ে যাওয়াতে সূর্যের তাপ শরীর থেকে পানি শুষে নিচ্ছে। ফলে আমাদের ত্বক জ্বালাপোড়া করছে। এরই মধ্যে গরম কমার কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস।  আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী কয়েকদিন এধরণের গরম অব্যাহত থাকবে। গত দুই দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছ। ১১ বছরের মধ্যে এবছর জুন মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নিচে গোসলে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ

আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি এবং ৭ থেকে ৯ জুনের মধ্যে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী কোনো স্থানের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। 

অন্যদিকে আমেরিকান গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে ১১ থেকে ১২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়ে ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্য জানায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ