০১ জুন ২০২৩, ০৮:৪৬

বাংলাদেশের শিশু আলিফার চিঠির জবাব দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট

বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশু আলিফা চীন  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের এক শিশুর লেখা চিঠির জবাব দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি তাকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে  বলেছেন। নিজ লক্ষ্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রম করতে এবং বড় হয়ে দু’দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও বলেছেন। আলিফা চীন নামের শিশুটির জন্ম ২০১০ সালে। সে গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মায়ের হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। এতে তার জন্মদান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।

সে সময় বাংলাদেশ সফরে এসেছিল চীনা নৌবাহিনীর হাসপাতাল জাহাজ 'দ্য পিস আর্ক'। সংবাদ জেনে, স্থানীয় হাসপাতালে ছুটে আসেন জাহাজের সামরিক চিকিৎসকরা। সতর্কতার সঙ্গে তারা সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন করেন। এতে মা ও শিশুর প্রাণরক্ষা হয়। এ ঘটনায় কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মেয়ের নাম আলিফা চীন রাখেন তার বাবা।

চিঠিতে শি জিনপিং বলেছেন, তার জন্ম ইতিহাস দু’দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের নিদর্শন। সুপ্রাচীন কাল থেকে বাংলাদেশ ও চীন ছিল ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধু। এ সম্পর্কের প্রেক্ষাপট হাজার বছরের। শি তাকে মিং রাজবংশের শাসনকালের ইতিহাস জানান। সে সময় চীনের বিখ্যাত নৌ-অভিযাত্রী, কূটনৈতিক ও অ্যাডমিরাল ঝেং হে দু’বার বাংলায় আসেন। এ সফর উভয় সংস্কৃতির মানুষের বন্ধুত্বের বীজ বুনে দেয়।

৬০০ বছর পর এ সম্পর্কের ধারাবাহিকতাতে বাংলাদেশে মানবিক সহায়তায় সফরে আসে 'দ্য পিস আর্ক' নামে জাহাজটি। নারী সামরিক চিকিৎসকরা আলিফার জন্মদানে সাহায্য করেন। দু’দেশের সম্প্রীতির এটি হ্রদয়গ্রাহী গল্প বলে উল্লেখ করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। শি বলেন, আলিফা বড় হয়ে দু’দেশের বন্ধুত্বের দূত হতে চায় জেনে তিনি ভীষণ আনন্দিত।

বড় হয়ে সে চীনের মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতে চায়, যাতে সে অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারে। নিজের চিঠিতে আলিফা তার জীবনদায়ী নারী চিকিৎসকদের 'চীনা মা' বলে উল্লেখ করেছিল। শি জিনপিং আশাপ্রকাশ করেন, শৈশব ও তারুণ্যের সদ্ব্যবহার করে আলিফা পড়াশোনা করবে এবং তার এই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাবে। তখন সে পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য অবদান রাখতে পারবে।

আগামী ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস। এ উপলক্ষে আলিফার সুস্বাস্থ্য, পড়াশোনায় সাফল্য ও সুখী পারিবারিক জীবন কামনা করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।