৩১ মে ২০২৩, ২০:৫৯

দাদির সাথে নাতির বিয়ে মানছে না পরিবার, এলাকায় চাঞ্চল্য

জেলা জজ আদালত, ভোলা  © ফাইল ছবি

ভোলার চরফ্যাশনে বিধবা শামসুন্নাহার নাহার (৫০) তার নাতী সম্পর্কীয় যুবক মিরাজকে (২৩) বিয়ে করেছেন। সম্পর্কে দাদীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পর ৭ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়। রবিবার (২১ মে) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহে আলম বেপারি দেড় বছর আগে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর থেকে তার স্ত্রী সামছুন্নাহার তার পুত্র জসিম উদ্দিনের সঙ্গেই থাকতেন। সেই সুবাদে জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং সম্পর্কে তার নাতি মিরাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। দীর্ঘদিন তাদের প্রেম চলাকালে দাদী ও নাতির অনৈতিক সম্পর্ক ধরা পড়ে স্থানীয়দের হাতে। এনিয়ে এলাকায় কানাঘুষা ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা জন্য দফায় দফায় সালিশ বৈঠক বসেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি।

সবশেষে রবিবার দুপুরে ৭ লাখ টাকা কাবিনে ভোলা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে কোর্ট এফিডেভিট করে দাদি-নাতির বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে এসব তথ্য নিশ্চিত করে নাতি মিরাজ হোসেন জানান, দাদা মারা যাওয়ার পর তার দাদীর দেখাশোনা করার জন্যই স্বেচ্ছায় দাদীকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের বিষয়ে নাতি মিরাজের ভাই ফিরোজ জানান, দাদীকে মিরাজ বিয়ে করেছে কিন্তু আমাদের পরিবার তা মেনে নেয়নি।

তাছাড়া কোর্ট এফিডেফিডে মিরাজের বয়স ২৩ বছর দেখানো হলেও তার প্রকৃত বয়স ১৭ বছর। এ বিষয়ে দাদী শামসুন্নাহার জানান, আমার ঘরে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদেরকে মেনে নিয়েই নাতি মিরাজ হোসেন আমাকে বিয়ে করেছেন। তিনি বাকি জীবন মিরাজের সঙ্গে কাটাতে চান বলেও জানিয়েছেন।

এ নিয়ে শশীভূষণ থানার (ওসি) মিজানুর পাটোয়ারী জানান, ঘটনাটি শুনেছি; এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।