২৬ মে ২০২৩, ১৪:০২

নরসিংদীতে গুলিবিদ্ধ আরও এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

আশরাফুল ইসলাম  © সংগৃহীত

নরসিংদীতে কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ আশরাফুল ইসলাম (২০) নামে আরও এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ফলে এ ঘটনায় মৃত্যু হলো দুজনের। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে শহরের চিনিশপুরে বিএনপির কার্যালয়ের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান (৩২) এবং সাঠিরপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (২০)। তারা দুজনই সম্প্রতি ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতারা একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলখানা মোড় হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যাবার পথে প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাদের তাদের লক্ষ‍্য করে গুলি চালালে সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের গ্রুপটি দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে এবং মোটরসাইকেল আরোহী ছাত্রদল নেতাদের মারধর করে। এতে আরও চার ছাত্রদল নেতা আহত হয়। 

সংঘর্ষের পর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থা গতকাল সোয়া ৭টায় সাদেকুরকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এরপর আজ সকালে আশরাফুলের মৃত্যু হলো।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সাদেকুর এবং আজ আশরাফুলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ‍্য, গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি, মাইন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত‍্যাশী ছিলেন। কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়ায় ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে তাঁর অনুসারীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এর জেরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলা, ভাঙচুর ও গুলির ঘটনা ঘটে।