সায়েন্সল্যাবে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ, আটক ১৫ নেতাকর্মী
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল ইসলাম রবিসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা, বিআরটিসির একটি বাস ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মো. সবুজ (৩৫) নামে একজনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেন।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত একটি পদযাত্রা ছিল। ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে শুরু হয়ে পথযাত্রাটি আসার কথা ছিল সিটি কলেজ পর্যন্ত। খুব শান্তিপূর্ণভাবে তারা শুরু করেছিল।
‘প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিলেন পদযাত্রায়। সামনের সারিতে যেসব নেতা-কর্মীরা ছিলেন তারা খুব ভালো আচরণ করেছেন। সায়েন্সল্যাব পর্যন্ত এসে তাদের যা করার কথা ছিল তাই করেছেন। এরপর সব সিনিয়র লিডাররা চলে যায়।’
‘পদযাত্রার শেষের সারির থেকে কিছু ছেলে হঠাৎ করে পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা ইট-পাটকেল মারে। ব্যানারের লাঠি দিয়ে পুলিশকে লাঠিপেটা করে। পুলিশও পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে তারা বিআরটিসি একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সেটির গ্লাস ভাঙচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি তারা (বিএনপি) না করলেও পারতো। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
পুলিশ কত রাউন্ড ফাঁকাগুলির ছুড়েছে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। এ ধরনের পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আমাদের সিআরপিসি নিয়ম আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। এ ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন আটক আছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।