২৩ মে ২০২৩, ১৩:৪৩

রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ

রাস্তায় বেরিকেট   © টিডিসি ফটো

বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজশাহীতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়টি নগরের মালোপাড়া এলাকায় অবস্থিত।

এছাড়া নগরীর সাহেববাজার, লক্ষীপুর, তালাইমাড়ি, ভদ্রামোড় এলাকাসহ বিভিন্ন মোড়েও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরের সাহেববাজার এলাকায় রিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বেলা ১১টার পর রাজশাহী  মহানগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বেরিকেট দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপির কার্যালয়ের ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

আজ বেলা ১১টার দিকে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নগরের ভুবনমোহন পার্কের নির্ধারিত জায়গায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত দলটির কোনো নেতা-কর্মী যাননি। তারা বলছেন, অন্য কোথাও তারা এই কর্মসূচি পালন করবেন। 

বিেএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে এই পদযাত্রা আয়োজনের উদ্যোগ নেয় জেলা ও মহানগর বিএনপি। কর্মসূচিটি ভুবনমোহন পার্ক থেকে শুরু করে নগরের সোনাদীঘির মোড় ও সাহেববাজার হয়ে রেলগেটে গিয়ে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু বেলা ১১টা বাজার আগেই পুলিশ নগরের স্বচ্ছ টাওয়ারের মোড় থেকে সোনাদীঘির মোড় পর্যন্ত এলাকায় রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করে।

 এ বিষয়ে আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম বলেন, রাজশাহীতে পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে তাদের কর্মসূচী পালনের অনুমোতি দেয়া হয়নি। তারা যেন অনুমোতি ছাড়া পদযাত্রা করতে না পারে সেই কারণে রাজশাহী মহানগরী জুড়ে সাধারণ মানুষদের চলাচালে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

নগরের মালোপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে একজন পিয়ন ছাড়া আর কেউ নেই। পিয়ন কেবল দাস বলেন, বেলা ১১টার দিকে পুলিশ কার্যালয়ের ফটকে তালা দিয়ে গেছে।

পুলিশ দাবি করেছে, বিএনপি কার্যালয়ে তারা তালা ঝোলায়নি। দলটির কর্মসূচি ঘিরে নগরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে পুলিশ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, তাদের নির্ধারিত ভেন্যু পুলিশ ঘিরে রেখেছে। সে জন্য সেখানে তারা কর্মসূচি পালন করতে যাননি। তারা অন্য জায়গায় কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ওখানেই করতে হবে, এমন নয়। নগরের ছয়টি থানার যেকোনো জায়গাতেই তারা কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করবেন। তারপর পুলিশ বাধা দিলে তখন দেখা যাবে।