ভোলার ইলিশা-১ কূপকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা
ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসকূপকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করা হয়েছে। যা থেকে ৩০ বছর গ্যাস উৎপাদন করা যাবে। গত ৯ মার্চ সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীর পর্যন্ত খননকাজ শেষ হয় ২৪ এপ্রিল।
সোমবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ২০২৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত ইলিশা থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এখানে পাওয়া গ্যাসের দাম ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একই পরিমাণ আমদানি করা গ্যাসের দাম পড়বে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মাধ্যমে বড় সম্ভাবনার দিক উন্মোচন হলো। সারাদেশের মানুষের জন্য এটা সুখবর।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্সে) তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম গ্যাস উত্তোলনে কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে নতুন এই গ্যাসকূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। কূপটিতে ২’শ বিসিএফ বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ গ্যাসের মজুদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
জানা গেছে, গ্যাসক্ষেত্রটির গভীরতা ৩ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার। কূপে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত প্রথম ড্রিলিং স্টেম পরীক্ষায় দেখা গেছে, গভীর স্তরে এর চাপ প্রায় ৩৫০০ পিএসআই এবং গ্যাসপ্রবাহ দৈনিক ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট। এ কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন বাণিজ্যিকভাবেও লাভজনক হবে বলে মনে করে বাপেক্স। বাপেক্স জানিয়েছে, নতুন এই ক্ষেত্রটিতে ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে।
ভোলা জেলায় মোট ৩টি গ্যাসক্ষেত্রের ৯টি কূপ রয়েছে। এগুলো হলো- বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহাবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র ৬টি কূপ, সদরের ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ভোলা নর্থর ২টি ও সর্বশেষ ইলিশা গ্যাস ক্ষেত্রের ইলিশা ১ কূপ। ভোলায় মজুদিকৃত গ্যাসের পরিমাণ ১ দশমিক ৭ টিসিএফ।