ভোলায় লিচুর বাম্পার ফলন, খুশি বাগান মালিকেরা
এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভোলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। লিচু পাড়ার জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিচু চাষিরা। কয়েকদিন পরই এসব লিচু উঠবে বাজারে। অনেকে আবার আগাম লিচু পেড়ে বিক্রিও শুরু করে করে দিয়েছেন।
ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা অবস্থিত সবুজ বাংলা কৃষি খামারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে ফলন ভাল হয়েছে। গাছে গাছে ঝুলছে রসালো লিচু। সবুজের ফাকে বাতাসে দোল খাচ্ছে পরিপক্ক এ ফলগুলো। আর এ দেখে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগও কৃষকদের সহযোগিতা করছে।
প্রথমবারের মতো লিচুর আবাদ করেছেন ভোলা সদরের বাপ্তা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা। আর তার সফলতা দেখে এখন অনেকইে ঝুকে পড়েছেন লিচু আবাদে।
খামার মালিক ও বাপ্তা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফল অনেক ভাল হয়েছে। এবারে আমার বাগানে ৬৮টি গাছে লিচু ধরেছে। প্রতিটি গাছেই ভাল পরিমাণে লিচু আছে। আশা করছি আমি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারব। তবে তাপদাহে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। বিশেষ করে লিচুর আকার কিছুটা ছোট হয়েছে। তারপরেও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি আমরা।
খামারের শ্রমিক মনির বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে লিচু বাজারে তোলা হবে। আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে অর্ডার আসতে শুরু করেছে। ফলন ভাল হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফলনে বিপর্যয় নেই দেখে এবার বানিজ্যিকভাবে অনেকেই লিচুর বাগান করেছেন। প্রথম দিকে প্রচণ্ড তাপদাহে ফলন নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত থাকলেও বর্তমানে ফলনের অবস্থা খুবই ভাল।
এ বিষয়ে ভোলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নজুর আলম বলেন, এবার লিচুর ফলন অনেক ভাল হয়েছে। আমরাও তাদের লিচু আবাদে উৎসাহ দিচ্ছি। আগামিতে এর আবাদ আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এ বছর ভোলায় মুজাপ্পর পুরি, চায়না ও দেশীয় এ তিন জাতের লিচুর আবাদ হয়েছে। বিষমুক্ত এসব লিচু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলাতেও সরবরাহ করা হয়।