১৪ মে ২০২৩, ০৯:০৫

ঢাকাতেও কী মোখার প্রভাব পড়বে?

ঢাকায় কতটা প্রভাব পড়তে পারে মোখার  © সংগৃহীত

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রবিবার দুপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃষ্টি চলবে রাত পর্যন্ত। একইসঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইতে পারে। তবে রাজধানীতে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঢাকায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়।

রবিবার (১৪ মে) সকাল থেকেই মোখার অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হতে পারে। তবে রাজধানী ঢাকায় ঝড়ের প্রভাব আসতে দুপুর গড়াতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে কম পড়তে পারে উত্তরাঞ্চলে।

আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, পূর্বে সিডর, আইলা, ইয়াসের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলো মূলত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে উপকূলে প্রবেশ করেছিল। সারাদেশে ওইসব ঝড়ের প্রভাবে ঢাকাতেও আমরা ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া পেয়েছিলাম। কিন্তু মোখা দেশের কক্সবাজার উপকূলের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। 

ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিশাল বিভাগ অতিক্রম করে ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভবনা নেই। তবে বাতাসের গতি-প্রকৃতি বিষয়ক ওয়েবসাইট উইন্ডি ডটকমের আবহাওয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোখার কেন্দ্রে বাতাসের তীব্র ঘূর্ণন গতি আশপাশের বাতাসকে কেন্দ্রে টেনে নিচ্ছে। এর ফলে বাতাস প্রবাহিত হবে উত্তর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। ফলে সিলেট হয়ে ঢাকা, ফেনী, নোয়াখালী অঞ্চলের আকাশে মেঘ জড়ো হতে পারে। বাতাসে বাড়বে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। 

ফলে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত এর প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ঢাকায় দুপুর থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও কয়েক ঘণ্টার জন্য দমকা হাওয়া ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে কম পড়তে পারে।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন-মহেশখালীতে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া, বেড়েছে পানির উচ্চতা

এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয়েছে। মোখার প্রভাবে কক্সবাজার শহর, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়াও। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঠেকাতে সেন্টমার্টি দ্বীপের প্রায় ১১ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৩ হাজার মানুষকে টেকনাফে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

বাকি ৮ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে আনার জন্য ইতোমধ্যে ৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ দ্বীপের ৩৭টি হোটেল রিসোর্ট-কটেজ খালি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ইতোমধ্যে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি ও হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।