১৩ মে ২০২৩, ২২:৫৪

এলএনজি টার্মিনাল বন্ধে বিদ্যুৎ সংকটে দেশ

  © সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এজন্য শনিবার (১৩ মে) দেশজুড়ে লোডশেডিং বেড়েছে। রাজধানী ঢাকাতেও দফায় দফায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী মঙ্গলবার নাগাদ বিদ্যুতের সংকট থাকতে পারে।

পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সারাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সাড়ে নয় হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে সারাদেশে প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় লোডশেডিং করতে হবে। এই লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরুর পর ১৬ হাজার থেকে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এজন্য ঢাকার বাইরে সারাদেশেই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার (১২ মে) দিবাগত রাত ১২টায় সারাদেশে এক হাজার ২৫৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে, যেটা বেড়ে ভোর ৫টার দিকে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮২৫ মেগাওয়াটে। এর ফলে বেড়েছে লোডশেডিং।

এর আগে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মোখার ফলে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে শনিবার গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। ঝড়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকতে পারে।

এই বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘অতিদ্রুত গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।