উত্তাল সাগর: সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সুযোগ নেই, আটকা পাঁচ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগরের মধ্যে থাকা দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সাগর উত্তাল থাকায় দ্বীপটিতে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে আটকা পড়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ।
শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন কক্সবাজারের আকাশ। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
তিনি বলেন, এ গতিতে ঝড়টি ঘুরতে থাকলে কিছু মেঘ বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে আসে। তা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়টি ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে ‘মোখা’ জানিয়ে তিনি বলেন, রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ থাকায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলাকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন থেকে আর কাউকে সরিয়ে আনা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন টেকনাফের ইউএনও মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, কাউকে সেন্টমার্টিনের বাইরে আনা হয়নি। যারা টেকনাফে এসেছেন, তা নিজ উদ্যোগে। বিকেল ৪টার মধ্যে সেন্টমার্টিনের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে সবাইকে নিয়ে আসা হবে। সেখানে প্রায় আট হাজার মানুষ আছে।
সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে আসা মাহিম চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিন থেকে প্রায় তিন হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকে শুনছে। আবার কেউ কেউ শুনছে না।