ঘূর্ণিঝড় মোখা: ডুবে যেতে পারে সেন্টমার্টিন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ক্রমশই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আজ শনিবার দুপুর থেকেই দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যেতে পারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় পুরোটা।
টেকনাফে সমুদ্র ও নাফ নদের ঢেউয়ের উচ্চতা গতকাল শুক্রবার থেকে বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ছে মানুষ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, মূলত সচ্ছল পরিবারের লোকজন দ্বীপ ছাড়ছে। গত কয়েকদিনে প্রায় ২ হাজারের মতো মানুষ দ্বীপ ছেড়েছে।
এদিকে শনিবার (১৩ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।
জ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ (আট) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।