ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি জিডিএসিএস’র
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ সতর্কতা বিষয়ক সংস্থা গ্লোবাল ডিজাস্টার অ্যালার্ট অ্যান্ড কো–অর্ডিনেশন সিস্টেম (জিডিএসিএস)। ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় কমিশনের সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক জিডিএসিএস এ ঘোষাণা দিয়েছে। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে শুক্রবার (১২ মে) রেড এলার্ট জারির কথা জানায়।
সংস্থাটির মতে, ২৮ লাখ মানুষ মোখার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ২০ লাখ ও বাংলাদেশের প্রায় আট লাখ মানুষ রয়েছে। রোববার (১৪ মে) সকাল ১০টার দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে মোখা। সে সময় গতিবেগ থাকতে পারে ২০৪ কিলোমিটার। দুই মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র গতি বেড়েছে। শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে পারে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে যা ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং কাছের দ্বীপ ও চর আট নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং কাছের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘মোখা’।
আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও উপকূলীয় এলাকায় ‘মোখা’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।