‘মোখা’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে আন্তর্জাতিক নার্সিং দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ শেষে সাভারের নিজ হাসপাতাল এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজের নার্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের জন্য ৫৭৩টি আশ্রয়ণ প্রকল্প খোলা হয়েছে। প্রায় ৮ হাজার ৪০০ সিপিবি ভলান্টিয়ার সেখানে কাজ করছেন। এই দুর্যোগের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এ ছাড়া কোস্টগার্ড কাজ করছে; আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছি।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার যে পেরিফেরাল পার্ট আছে তা ৪০০ কিলোমিটার ব্যাস নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এ পেরিফেরাল পার্ট সেন্ট মার্টিন এবং টেকনাফে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন এবং ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সমন্বিত-ভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা এবং উদ্ধার তৎপরতা নিশ্চিত করতে শনিবার (১৩ মে) সকালে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ আরও শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এ অবস্থায় আজ শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় বিশেষ বুলেটিনে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এছাড়া উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহও ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। তবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।