‘মোখা’র প্রভাব: সেন্টমার্টিন ছাড়ছে মানুষ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়তে ট্রলারযোগে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেন। এরআগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নেন দ্বীপের পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না। তবে দ্বীপে ব্যবসার জন্য অবস্থান নেওয়া বাইরের লোকজন এবং স্থানীয় কিছু মানুষ এখানে চলে এসেছেন।
সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, কখনও যাইনি, তবে এবার অবস্থা ভাল না। তাই টেকনাফে স্বজনদের কাছে চলে যাচ্ছি। এর আগে আশপাশের অনেক লোকজন দ্বীপ ছেড়ে চলে গেছেন।
দ্বীপের জনপ্রতিনিধি খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্কুল, হোটেল ও রিসোর্টগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে ট্রলারযোগে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছেড়েছেন দেড় হাজারের মতো বাসিন্দা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, প্রশাসন মানুষজনের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সজাগ রয়েছে। বিশেষ করে দ্বীপের মানুষের জীবনরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপে বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, যেকোনও দুর্যোগে দ্বীপবাসীর জন্য বিজিবি সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপকে বিশেষ নজরদারিতে রাখছি। আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি।