‘মোখা’ মোকাবিলায় শুক্র-শনিবার খোলা দুর্যোগ মন্ত্রণালয়
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আগামী দুই দিনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল ১২ মে ও তার পরদিন ১৩ মে যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার খোলা থাকবে এ মন্ত্রণালয়টি।
মন্ত্রণালয়ের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাসময়ে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদান করে আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এক নোটিশ জারি করা হয়েছে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় যথারীতি খোলা থাকবে।
যেখানে আঘাত হানতে ‘মোখা’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী রবিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে পারে। তবে এর অগ্রভাগ আগের দিন অর্থাৎ শনিবার রাতেই বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের ‘পরিস্থিতি বুঝে’ এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে বাংলাদেশেরও যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। এদিকে মোখার ফলে উপকূলে এবং অন্যান্য স্থানে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভোলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় ভোলায় আটটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। এতে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ।
এ ছাড়াও প্রস্তুত রয়েছে ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপি ও পাঁচ হাজার রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় ৯০ শতাংশ জেলে ইতিমধ্যে তীরে ফিরে এসেছেন এবং বাকি জেলেদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর।