১০ মে ২০২৩, ১৩:০২

দুই বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

দুই বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস  © সংগৃহীত

আবারও তীব্র তাপপ্রবাহ পুড়ছে সারাদেশ। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশজুড়ে ফের বেড়েছে গরম। অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে নিম্ন আয়ের ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগই বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ  (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যাচ্ছে। মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে ঢাকাতেও। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

বুধবার (১০ মে) তাপমাত্রা রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং পটুয়াখালীর ওপর তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্যত্র মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যা অব্যাহত থাকতে পারে। 

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বুধবার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

গত দুদিন ধরে সারাদেশের ওপর দিয়েই তাপপ্রবাহ বইছে। এরই মধ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে দেশের চার জেলায়, সেখানে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে সারাদেশের কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। এছাড়া আগামী ৩ দিনের শেষ সময়ের শেষের দিকে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন: দুপুরের আগেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে ‘মোখা’

মঙ্গলবার (৯ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।