০৯ মে ২০২৩, ১০:০৭

তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে, থাকবে অন্তত আরও ৩ দিন

গরমে নিম্ন আয়ের ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগই বেশি হচ্ছে  © সংগৃহীত

আবারও তীব্র তাপপ্রবাহ পুড়ছে সারাদেশ। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশজুড়ে ফের বেড়েছে গরম। অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের বেশির ভাগ এলাকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। গরমে নিম্ন আয়ের ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগই বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই গরম থাকতে পারে অন্তত আরও তিনদিন। এরপর বৃষ্টিবাদল হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

এখন পর্যন্ত চলতি মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। সোমবার বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় ১৫ শ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছিল এই নিম্নচাপটি। আগামীকাল রাতে মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এটি। 

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে প্রলয়ঙ্করী শক্তিতে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মোখা। ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত শুরু করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দুপুরের পর থেকে মধ্যরাত্রির মধ্যে। 

মোখার মূলকেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দিবাগত রাত ১২ টা থেকে ভোর ৬ টা। ঘূর্ণিঝড়ের পিছনের অর্ধেক অংশ উপকূলে অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৫ মে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত। উপকূলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর সম্ভাব্য বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পরে ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৭ থেকে ১০ ফটু উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
এদিকে সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাপপ্রবাহ বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুরে মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যায় এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন: ২০০ কিমি বেগে আঘাত হানতে পারে মোখা, জানা গেল স্থান

এ বছর এপ্রিল-মে মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও আবহাওয়াবিদরা এটাকেও অস্বাভাবিক বলছেন না। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ জায়গাতেই তখন একটা তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর দীর্ঘদিন এ রকম অবস্থা আমরা দেখিনি। এ বছর আবার আমরা কিছুটা দেখছি। আবহাওয়ার এ রকম ঘটনা অনেক বছর পর ঘুরেফিরে আসে।’

তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর তাপমাত্রা সামান্য হলেও বেড়েছে।  এ রকম উচ্চ তাপমাত্রাকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে কি না— এ প্রশ্নের জবাবে ওমর ফারুক বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা অবশ্যই দুর্যোগ