‘চরমোনাইয়ের সমালোচনা করায়’ রাশেদ খানকে হত্যার হুমকি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের সমালোচনা করায় হত্যার হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি বলেছেন তাকে একটি নম্বর থেকে অনবরত কল-এসএমএসে জবাই করে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেননি।
এই বিষয়ে রাশেদ খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছেন, রবিবার (০৯ মে) সকাল ১০:৪৮ মিনিটে তার নম্বরে একটি পরিচিত নম্বরের ফোন আসে। সেই থেকে শুরু। সকালের এই ফোনকলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চরমোনাইয়ের সমালোচনার কথা উল্লেখ করে তার সঙ্গে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। এসএমএসে তাকে তার দেওয়ার বক্তব্যেও জন্য ক্ষমা চাইতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে চরমোনাইয়ের সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত রাশেদ খানের ওই বক্তব্যের ভিডিও চলমি মে মাসের শুরুর দিকে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সেখানে ইসলামী আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আপনারা কীভাবে নির্বাচনে যাচ্ছেন! জাতি তো আপনাদের গাদ্দার মনে করছে। ফয়জুল করীম সাহেব, আপনি উঁচু কণ্ঠে সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়েও কথা বলেছেন। তাকে কিন্তু সরকার গ্রেপ্তার করেনি। একই বিষয়ে মামুনুল হকও কথা বলেছেন; তিনি এখন কারাগারে আছেন। সেই জায়গা থেকে মানুষ এখন বিভিন্নভাবে বলাবলি করছে, চরমোনাইয়ের সাথে কি তাহলে ভেতরে ভেতরে সরকারের সুসম্পর্ক চলছে!...’’
এদিকে, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি চরমোনাই পীরের ছোট ভাইও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও বরিশাল মহানগরের সভাপতি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ছোট ভাই মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের ওই মনোনয়নপত্র নিয়েছেন বলে জানান দলীয় নেতারা। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিসিসি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে ও ভোট ১২ জুন।
এই নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের সমালোচনা করেছেন রাশেদ খান। পরে সে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাকে এখন হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: জুতা কিনতে গিয়ে দোকানিকে মারধরের অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
হত্যার হুমকির বিষয়ে রবিবার রাতে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, হুমকির পর এখনো কোনো জিডি করা হয়নি। কারণ এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে জিডি করতে গিয়ে দেখেছি, থানা আমাদের জিডি নেয় না। তাই জনগণের কাছে বিচার দিয়েছি। জনগণের এসব হুমকি-ধমকির জবাব দেবে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, যারা হুমকি দিচ্ছেন, তারা তো চরমোনাইকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কারণ দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। কারা দিচ্ছে সেটি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তো আমার না। আমি পাবলিকলি নম্বরসহ ফেসবুকে পোস্ট করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে তদন্ত করতে পারেন। আমার অবস্থান থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই। আমি জনগণের পক্ষেই রয়েছি।